তরমুজের গায়ের রং হলুদ। ফলবে সারা বছর। একই জমিতে আবাদ করা যাবে বছরে তিনবার। অর্থাৎ দ্রুত সময়ে এর ফলন হয়।
দামও বেশ ভালো পাওয়া যায়। মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করা এই তরমুজের ফলনও হয় বেশ ভালো।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় প্রথমবারের মতো এ জাতীয় তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে। উপজেলায় মোট দুই হেক্টর জমিতে এই তরমুজের ফলনে খুশি স্থানীয় কৃষকরা।দিনে দিনে এর আবাদ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, বীরগাঁও, নাটঘর, বগডহর গ্রামে হলুদ রঙের তরমুজের চাষ হয়েছে। জমিতে পলিথিন দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তরমুজের চাষ করা হচ্ছে। এতে তরমুজ গাছ আগাছা ও পোকমাকড় থেকে রক্ষা পাচ্ছে।ফলে বাড়তি পরিচর্যা করতে হচ্ছে না কৃষকদের।
কৃষকরা জানান, প্রতি কেজি তরমুজ তাঁরা ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। একেকটি তরমুজ দেড় থেকে তিন কেজি পর্যন্ত ওজন। স্থানীয়ভাবে খুচরার পাশাপাশি পাইকারিভাবেও তরমুজ বিক্রি করে লাভবান তাঁরা। কৃষি অফিস থেকে এ বিষয়ে তাঁদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বগডহর গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে পরিত্যক্ত অনাবাদি জমিতে প্রথমবারের মতো হলুদ রঙের তরমুজের চাষ করেছেন। প্রথমবারাই ভালো ফলন হয়েছে। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরবর্তী সময়ে আরো ভালো ফলন ফলানো যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নবীনগর পূর্ব ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু নোমান জানান, পুকুরপারসহ পরিত্যক্ত জায়গায় এই তরমুজ আবাদের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। অসময়ে এ তরমুজের ফলন হয় বলে এর বাণিজ্যিক চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। তরমুজের বাজার মূল্যও বেশ ভালো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যেই এ তরমুজ বিক্রয় উপযোগী হয়ে যায়। এ তরমুজ আবাদ কৌশল সম্পর্কে কৃষি বিভাগ মাঠ দিবস ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হাতে-কলমে শিখিয়ে দিচ্ছে। একটি প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের তরমুজের বীজ, মালচিং পেপার ও পরিচর্যা বাবদ আর্থিক প্রণোদনাও দেওয়া হচ্ছে।